বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম পাঁচ মাসের (জুলাই-নভেম্বর, ২০২৫-২৬) প্রবাসী আয়ের শীর্ষ তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, যার মধ্যে ছয় জেলা এই তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১১টি জেলা রয়েছে এই তালিকায়, যার মধ্যে চট্টগ্রাম অবস্থিত দ্বিতীয় স্থানে। অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুর। সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলায়।
চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক রেমিট্যান্স তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ মাসে প্রবাসীরা দেশে মোট ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঠানো অর্থের পরিমাণ সর্বোচ্চ, যা ৭০০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এই বিভাগের ১৩টি জেলার মধ্যে ঢাকাই জেলাটি শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে।
আলোচিত সময়ে ঢাকার বিভিন্ন জেলার মধ্যে প্রবাসী আয় এসেছে যথাক্রমে: ঢাকায় ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার, টাঙ্গাইলে ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, এবং মুন্সীগঞ্জে ২১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। অন্যান্য বিভাগ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবাসী আয় হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, সিলেটের ১০৩ কোটি ২৫ লাখ, খুলনার ৫১ কোটি ৮৪ লাখ, রাজশাহীর ৪০ কোটি ৭৮ লাখ, বরিশালের ৩১ কোটি ২৮ লাখ, ময়মনসিংহের ২২ কোটি ৬ লাখ ও রংপুরে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। রংপুরের লালমনিরহাটে প্রবাসী আয় এসেছে মাত্র ৬৪ লাখ ডলার, যা দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বনিম্ন। একইভাবে পঞ্চগড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৪ লাখ ডলার।
চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জেলা এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য। সেখানে মোট প্রবাসী আয় হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় উপার্জন হয়েছে ১০৩ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, কুমিল্লায় ৬৯ কোটি ৬৬ লাখ, নোয়াখালিতে ৩৯ কোটি ১৬ লাখ, ফেনীতে ৩৫ কোটি ৪০ লাখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২ কোটি ৭৯ লাখ এবং চাঁদপুরে ২৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে এই বিভাগের কুমিল্লা দ্বিতীয়, এবং দেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এরপর নোয়াখালী পঞ্চম, ফেনী ষষ্ঠ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সপ্তম এবং চাঁদপুর অষ্টম স্থানে।
রাঙামাটি জেলায় প্রবাসী আয় এসেছে ৭৫ লাখ ডলার, যা দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বনিম্ন, তৃতীয় স্থান। সিলেট বিভাগের এক জেলাও এই তালিকায় স্থান পেয়েছে, যেখানে প্রবাসী আয় এসেছে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার, যা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান।






