রাজধানীর বাজারে সম্প্রতি তেলের দাম বেড়ে গেছে। তবে ভোক্তাদের জন্য ভালো খবর হলো ডিম ও বিভিন্ন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দাম কমছে। কারওয়ান বাজার, টাউন হল বাজার ও উত্তরার চৌরাস্তার কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম এসেছে সামান্য নিচে। বিক্রেতারা আশা করছেন, আরো কয়েকদিনের মধ্যে সবজির দাম আরও কমবে।
বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ ডিসেম্বর দেশের শীর্ষ ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা করে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা করেছে। একই সঙ্গে ৫ লিটারের বোতলে এই তেলের দাম এখন ৯৫৫ টাকা। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সব বিক্রেতা এ দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম বেশ বাড়তি। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, যার কেজি ১০০-১১০ টাকা। তবে পুরনো পেঁয়াজের দাম আরও বেশি, কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
আলুর বাজারেও নতুন পণ্য এসেছে। সাদা আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে, আর লাল আলু ৭০ টাকার কাছাকাছি। কিছু দিন আগে এই আলুর দাম একশোর ওপরে ছিল। সরবরাহের বৃদ্ধি ও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দাম কমলেও, পুরোনো আলুর দাম এখন কেজি ২০-২৫ টাকা।
গত দুটি সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন ফার্মের মুরগির ডিম এক ডজনের জন্য চাওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৪০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা কেজি, আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩০০ টাকায়।
সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির প্রভাব পড়ায় বাজারে দাম কমছে। প্রতি পিসে ফুলকপি ও বাধাকপি ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন কেজিতে ৬০-১০০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, শালগম ৪০-৬০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা এবং দেশি টমেটো ১১0-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।






