বগুড়ায় আদালত হাজতখানায় থেকে পালিয়ে যাওয়া এক আসামীকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছে। তবে এই ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
ঘটনার ব্যাপারে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের হাজতখানায় প্রিজন ভ্যানে এক ব্যক্তিকে তোলার সময় তিনি হাতকড়া খুলে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যান। দিনটির কাছে যে পুলিশি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি হলেন শাহীন ওরফে মিরপুর (১৯), একজন পকেটমার। শাহীন শহরতলির সাবগ্রাম (চানপুর) এলাকার নুর আলমের ছেলে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাতে শহরের থানারোড এলাকায় এক পকেটমারকে স্থানীয়রা আটক করে মারধর করে। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। অভিযোগ না থাকায় বৃহস্পতিবার তাকে ফৌজদারি আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে, সন্ধ্যায় প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান শাহীন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, দায়িত্বে অবহেলার জন্য হাজতখানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম হোসেন, সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল জলিল, শহীন মিয়া ও গোলাম মোস্তফাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরতলীর সাবগ্রাম এলাকায় শাহীন ওরফে মিরপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশি দায়িত্বে অবহেলার জন্য শিগগিরই তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।






