সিরিয়ার পালমিরায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর এক হামলায় দুই মার্কিন সেনা সদস্য এবং একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশগ্রহণ করছিলেন। পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানিয়েছেন, এই হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, হামলাকারীকে মিত্রবাহিনী হত্যা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন যে, তিনি নিশ্চিত হয়েছেন আহত মার্কিন সেনারা ভালো আছেন। তবে তিনি এই ঘটনার জন্য আইএসআইএস (ISIS) এর দায় স্বীকার করে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এর কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। ট্রাম্প আরও বলেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এবং সিরিয়ার একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এলাকা থেকে সংগঠিত একটি আইএসআইএস হামলা।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এই হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছেন। হেগসেথ সামাজিক মাধ্যমে সতর্ক করে বললেন, যদি কেউ আমেরিকানদের লক্ষ্য করে তাহলে তার জীবন কালো হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকা দ্রুত তাদের খুঁজে বের করবে এবং কঠোরভাবে শাস্তি দেবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এই হামলার খবর প্রথম জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমাণ্ড, বা সেন্টকাম। তারা জানায়, এটি একজন একক আইএসআইএস বন্দুকধারীর চালানো অ্যামবুশ বা অতর্কিত হামলা ছিল। পরে হামলাকারীকে মিত্রবাহিনী হত্যা করে। হেগসেথ নিশ্চিত করেন যে, অপরাধীকে হত্যা করা হয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, হামলাটি সিরিয়ার কেন্দ্রীয় হোমস অঞ্চলের পালমিরার কাছে সংঘটিত হয়। তিনি বলেন, যখন মার্কিন সৈন্যরা একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, তখনই এই হামলা ঘটে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই অঞ্চলে আইএসআইএস-বিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো। ওই ঘটনাকে নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক থাকছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।






