সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশে শেয়ারবাজারের জন্য একটি উদ্বেগজনক দিন ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতন ও লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দিনের শুরুতে বাজার কিছুটা উর্ধ্বমুখী থাকলেও দ্রুতেই বিক্রির চাপ বারের কারণে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম পিছিয়ে যায়। এত সব ঘটনার মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনেই শেয়ারবাজারে এ নেতিবাচক প্রবণতা দৃশ্যমান হয়।
ডিএসইর বিষয়গুলো যদি দেখা হয়, তবে দেখা যায়, লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৮টির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ২৯২টির দাম কমেছে এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই দরপতনের প্রভাব পড়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের উপর, যা ৪২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। একইভাবে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট নেমে ১ হাজার ১৬০ পয়েন্টে এবং বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১৮৭৭ পয়েন্টে এসেছে।
শেয়ারবাজারের দিক থেকে টাকা লেনদেনের মোট পরিমাণও কমেছে। সোমবার মোট লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা কম। শীর্ষে ছিল সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, যেখানে মোট ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। এরপর আন্দোলনে রয়েছে সায়হান কটন ও ফাইন ফুডস।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও বিভিন্ন সূচকের পতন লক্ষ্য করা গেছে। সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে, এবং সেখানে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এই লেনদেনের মধ্যে, ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৮টিরই মূল্য কমেছে। এদিনের এই পরিস্থিতি প্রত্যেক বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয় কারণ বাজারের চলমান ধারা এখনও অস্থির।






