শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দফতর ও সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে ‘বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের অবদান অনন্য। এই স্বাধীনতা অর্জনে সবথেকে বেশি ভূমিকা রেখেছেন মুক্তিযোদ্ধারা, যারা দেশের ভূখণ্ড রক্ষায় আত্ম উৎসাহে লিপ্ত ছিলেন। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক। এতে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব সাহা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফয়েজুর রাজ্জাক আকন্দ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা। পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, শিক্ষার্থীর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে কিছু অসুবিধা ও অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যেও। অনুষ্ঠান শুরুর আগে রাতের নির্ধারিত আসন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় তৃতীয় সারিতে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনা এবং ছবি তোলাও খুব অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, প্রবল ধাক্কাধাক্কি ও দ্রুত দখল হয়ে যাওয়ায় সাংবাদিকরা নিজেরা দাঁড়িয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন। বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিকগণ বলেন, প্রশাসনের এই বৈষম্যমূলক আচরণে ভবিষ্যতে আরও অসুবিধার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এই ঘটনার কারণে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ও হতাশার সুর চেপে বসে।






