বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আধুনিক সেচ ব্যবস্থা ‘ভ্যালি ইরিগেশন সেন্ট্রাল পিভট’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), যাতে অস্ট্রিয়ার অর্থায়ন রয়েছে। নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষি মাঠে এ আধুনিক সেচ প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।
বিএডিসি বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত কৃষি ব্যবস্থায় বহুল ব্যবহৃত সেন্ট্রাল পিভট ইরিগেশন প্রযুক্তি এবার বাংলাদেশের কৃষিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পানির সরবরাহ হবে পাইপের সঙ্গে যুক্ত স্প্রিংকলারের মাধ্যমে, নিচ থেকে নয়। এই পদ্ধতিতে বড় কৃষিজমিকে কম সময় ও কম পানি ব্যয়ে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের কৃষি খাতে বিপ্লব আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য ভবানীপুর কৃষি খামারে বসানো হলে, এটি বিভিন্ন খামার ও বেসরকারি উদ্যোগেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করেন কৃষিবিদরা। এতে একাধিক ফসল একসাথে ফলানো, চাষের সময় কমানো, পাশাপাশি পানির সাশ্রয় সম্ভব হবে। এভাবে খামারের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আখ ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদনও বাড়বে।
বিএডিসির বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, আধুনিক কৃষিতে পানি ব্যবস্থাপনা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। সেন্ট্রাল পিভট প্রযুক্তি দ্রুত, স্বয়ংক্রিয় ও খরচ সাশ্রয়ী। এই প্রকল্প সফল হলে দেশের বৃহৎ কৃষি খাতে বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক (খামার) মো. বাকি বিল্লাহ বলেন, ‘এটাই দেশের প্রথম কোথাও এই আধুনিক সেচ ব্যবস্থা আমাদের খামারে বসছে। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, এই অঞ্চলের কৃষির জন্যও এক বড় অর্জন। আমরা আশা করছি, সেন্ট্রাল পিভট প্রযুক্তির মাধ্যমে সময়, শ্রম ও পানির সাশ্রয় হবে। আগে যেখানে সেচ দিতে দুদিন লাগত, এখন সেটি কয়েক ঘণ্টায় শেষ হবে। এর ফলে একই জমিতে আখের পাশাপাশি একাধিক ফসল ফলানো সম্ভব হবে।’






