ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অবৈধ বেটিং বা জুয়া সংক্রান্ত অ্যাপের প্রচার ও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কঠোর অভিযান жүргіз করেছে। শুক্রবার, এই সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গের কিছু তারকা এবং দুই সাবেক ক্রিকেটারের মোট ৭ কোটি ৯৩ লাখ রুপির (প্রায় ১১ কোটি বাংলাদেশি টাকা) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
বাজেয়াপ্তির তালিকায় রয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। ইডি তাদের কাছে থেকে যথাক্রমে ৫৯ লাখ এবং ৪৭ লাখ ২০ হাজার রুপির সম্পত্তি জব্দ করেছে। তাছাড়া, বলিউডের গ্ল্যামার ডের উর্বশী রাউতেলার সম্পত্তি ২ কোটি ২ লাখ রুপির মধ্যে রয়েছে, যা তার মায়ের নামে ছিল। এছাড়া সুপারস্টার সোনু সুদ ও নেহা শর্মার এক কোটি এবং দেড় কোটির বেশি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, ভারতের সুনামী দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং ও রবিন উথাপ্পার সম্পত্তিও এই তালিকায় রয়েছে। যুবরাজের ২ কোটি ৫০ লাখ রুপির এবং রবিন উথাপ্পার ৮ লাখ ২৬ হাজার রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ইডি দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ বেটিং অ্যাপের সঙ্গে জড়িত কেলেঙ্কারির তদন্ত চালাচ্ছে। এর আগে, মিমি চক্রবর্তী ও অঙ্কুশ হাজরাকে দিল্লির কেন্দ্রীয় দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তদন্তের অগ্রগতির অংশ হিসেবে, অভিযোগ করা হয় যে তারা অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অ্যাপের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন। উল্লেখ্য, একই মামলায় এর আগে ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নাকে প্রায় ১১.৫ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।






