চীনের সঙ্গে থাই স্বয়ংক্রিয় রপ্তানি চুক্তি এবং আঞ্চলিক বাজারে চালের চাহিদার বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে চালের দাম সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, যা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। একই সময়ে ভারত ও ভিয়েতনামেও চালের রপ্তানির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনে যোগ হয়েছে মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন এবং নতুন ক্রয়াদেশের বৃদ্ধি, যা চালের দাম উদ্বেলিত করছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
থাইল্যান্ডে ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত চালের দাম গত সপ্তাহে টনের জন্য ৪১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এক বছরেরও বেশি সময়ে সর্বোচ্চ। এর আগে এ মূল্য ছিল ৪০০ ডলার। ব্যাংকক ভিত্তিক একজন ব্যবসায়ীর মতে, নভেম্বরে চীন থেকে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানি করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যার ফলে চালের দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমের ধান কাটা কিছুটা বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় সরবরাহের ওপর বড় কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে না।
ভারতেও চালের রপ্তানির মূল্য খানিকটা বাড়ছে। নয়াদিল্লির এক রপ্তানিকারক জানিয়েছেন, মূল্যের তুলনামূলক কম থাকায় এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক ক্রেতা ছোট পরিসরে চাল আমদানি শুরু করেছেন, যার ফলে রপ্তানি চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত সিদ্ধ চালের দাম টনের জন্য ৩৪৮ থেকে ৩৫৬ ডলার পৌঁছেছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৪৭ থেকে ৩৫৪ ডলার। একই সময়ে ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত আতপ চালের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪৫ থেকে ৩৫০ ডলার। ডলার বিপরীতে রুপির বিনিময় হার রেকর্ড নিম্নস্তরে নেমে যাওয়ায় রপ্তানি আয় রুপির হিসাবে বেড়ে গেছে।
ভিয়েতনামেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে ৫ শতাংশ খুদ্যযুক্ত চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৩৭০ থেকে ৩৭৫ ডলার, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬৫ থেকে ৩৭০ ডলার। এটি ৬ নভেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ। হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও আফ্রিকার কিছু বাজার থেকে ভিয়েতনামের চালের চাহিদা বাড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। থাইল্যান্ডের তুলনায় ভিয়েতনামের চালের দাম এখনও তুলনামূলকভাবে কম।
বিশ্লেষকদের মতে, বড় আমদানিকারকদের নতুন ক্রয়াদেশ এবং মুদ্রা বাজারের পরিবর্তনের কারণে আগামী কয়েক সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে চালের দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।






