ফরিদপুরে জেলাজুড়ে এক স্বতন্ত্র নিরাপত্তা অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানের নাম রয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ এবং গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ মোট ৫৮ জন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এসব নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অভিযোগে—যেমন মামলা, ওয়ারেন্ট, মাদক ও অন্যান্য সুনির্দিষ্ট অভিযোগ—গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে গত রোববার রাতের দিকে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রাম থেকে জেলায় পরিচিত যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মৃধা ওরফে লিটন মৃধাকে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ২০১৯ ও ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বোয়ালমারী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ওই দিনই পুলিশ তাকে সন্ত্রাস দমন আইনে গত ৪ সেপ্টেম্বর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করেছে।
অন্যদিকে, লিটন মৃধার স্ত্রী নাসরিন নবী গিনি এই গ্রেফতারের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিল তা তিনি জানতে পারেননি। রোববার রাতে হঠাৎ পুলিশ এসে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। শামছুল আজম নিশ্চিত করেছেন, জননিরাপত্তা ও অপরাধ দমন উদ্দেশ্যে ফরিদপুরসহ পুরো জেলার পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মূলত এই অভিযান দেশের অন্য সব প্রান্তের মতোই সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী চালানো হচ্ছে, যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে বলে জানানো হয়েছে।






