গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও ট্রাজিশন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি শক্তিশালী মহল ভয়ঙ্করভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ট্রাজিশন পিরিয়ডের মধ্যে রয়েছে। এক ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শাসনের কারণে আমাদের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই দুঃসময় শেষে এখন আমরা একটি নির্বাচন দোরগোড়ায় রয়েছি, যার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ও সংসদ তৈরি হবে, যেন দেশের সার্বভৌমত্ব ও শান্তি ফিরে আসে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে এর মধ্যেই কিছু অনুচিত মহল এই ইতিহাসের পরিবর্তন এবং গণতন্ত্রের পথে বাধা দেওয়ার জন্য ভয়ঙ্কর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বলেও তিনি সতর্ক করেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আজ আবারও এই চক্রান্তের শিকার হয়ে শহীদ ওসমান বিন হাদির রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আল্লাহর কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন তাঁকে স্বর্গে সর্বোচ্চ স্থান দেন। তিনি আরও বলেন, এই ট্রাজিশনাল পিরিয়ডে সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি গুরুতর পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার বর্তমানে প্রয়োজনীয় দায়িত্বশীলতা দেখাবে এবং দেশ পরিচালনায় দক্ষতা প্রমাণ করবে।
ফখরুল উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং ২০২৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে নির্বাচন পরিস্থিতির উন্নতি করতে তারা আরও সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা শেষ হয়েছে তবে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তারা জানাবেন অতিসময়ে, কোন আসনে বিএনপির প্রার্থী থাকবে না ও অন্যগুলোতে কী শর্তে কাজ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জমিয়ত জামেয়াতে উলামায়ে ইসলাম অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দল। তাদের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারিত আসনে বিএনপির প্রার্থী থাকবেন না। তিনি জানান, ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য তারা আরও আনুষ্ঠানিকভাবে আসন সমঝোতা জানাবেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তারা সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখবেন, যা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পঞ্চম সংশোধনির মাধ্যমে প্রবর্তিত। তারা কোনভাবেই কোরআন সুন্নাহ বিরোধী আইন করবেন না। অঙ্গীকার করেন, পাস করা মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা ও সুবিধার ব্যবস্থা করবেন এবং ধর্মীয় শিক্ষকদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। এছাড়া, আসন্ন নির্বাচনী ইশতেহারে ধর্মীয় শিক্ষকদের জন্য ভাতা এবং এগুলোর জন্য ট্রাস্টের শক্তিশালী পুনঃসংগঠন যেমন বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।






