দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও এক শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকার একটি বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি তার প্রতিশ্রুতি, রাজনৈতিক দর্শন এবং দেশের উন্নয়নের রূপরেখা উপস্থাপন করেন। তিনি স্পষ্ট করেন, দেশের ধর্ম-বর্ণ বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ ও প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি তিনি রাখছেন। শান্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সরকারটি ইসলামের সর্ববৃহৎ নবীর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ন্যায় ও নীতির প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবে তাঁর দল।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তারেক রহমান বলেন, “আমার দেশের মানুষের জন্য স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নের জন্য দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রের পক্ষে সদা সচেতন নাগরিকদের সক্রিয় সহযোগিতা ও সমর্থন আবশ্যক।” তিনি বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কিছু অসৎ শক্তি এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের হত্যা ও হিংসাত্মক ঘটনাগুলিকে সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের ধৈর্য্যধারণের আহ্বান জানিয়ে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য অনুপ্রেরণা দেন।
তারেক রহমান মানবিক ও বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, সকলের নাগরিক অধিকার সমান, তা পাহাড়ী এলাকা হোক বা সমতল, নারী-পুরুষের জন্য একই সম্ভাবনার দরজা খোলা থাক্বে। তিনি একটি আলোকিত বাংলাদেশে নারীর অধিকার ও শিশুর নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেন। গত ১৫ বছরে যারা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের ত্যাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ সময় তিনি তাঁর গুরুতর অসুস্থ মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথ পরিচালনায় এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য জনসমুদ্র দেখা যায়। দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মঞ্চে উপস্থিত থেকে তারেক রহমানের স্বাগত জানান। দীর্ঘ প্রত্যাশার পর তারেক রহমানের সরাসরি ও প্রেরণাদায়ক বক্তৃতা উপস্থিত সকলের মন ভরে তোলে। ভবিষ্যত রাজনৈতিক সংগ্রামে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ জাগে। সংবর্ধনা শেষে তিনি সরাসরি হাসপাতালে তার অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।






