দীর্ঘ ১৭ বছরপ্রবাস জীবনের পর দেশে ফিরে সবচেয়ে প্রথম জনসভায় নতুন স্বপ্ন দেখালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় অনুষ্ঠিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে তিনি ঘোষণা করেন, আমরা সবাই একসঙ্গে একটি নিরাপদ, শক্তিশালী এবং সুস্থ জাতি গড়ে তুলব, যা একজন মমতাময়ী মা তার সন্তানের জন্য আশা করেন। তার মতে, একটি প্রকৃত নিরাপদ দেশ হলো সেই জাতি যেখানে প্রত্যেক নাগরিক নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যান, আনন্দে মেতে উঠতে পারেন এবং নিরাপদে ফিরে বাসায় ফিরে আসতে পারেন। তিনি দেশের জনগণের বীরত্বের প্রশংসা করে উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, তারা আজ ২০২৪ সালে নতুন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছেন। তিনি বললেন, দেশের মানুষের প্রধান আকাঙ্ক্ষা এখন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়া, মুক্ত ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। তিনি দেশবাসীর মধ্যে জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এখন সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ে তুলতে। তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেন, তার স্বপ্নের বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ ও ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষ অধিকার ভোগ করবে, এমনকি পাহাড়ি ও সমতল মানুষ, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলের জন্য সমান সুবিচার নিশ্চিত হবে। তিনি এমন একটি রাষ্ট্রের কথা প্রকাশ করেন যেখানে নারী, পুরুষ বা শিশু—যেকোনো কেউ—নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারবে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি বিশাল এই সংবর্ধনা মঞ্চে আরোহন করেন। সকাল থেকেই লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে যোগ দিতে পৌঁছে যান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সব নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে উষ্ণ স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় পর এই প্রথম তারেক রহমানের ফেরার জন্য জনতাকে নতুন উৎসাহের সৃষ্টি হয়। সংবর্ধনা শেষে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর অসুস্হ মা, বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।






