১৯৪৫ সালে এসএসসি পাস করেছিলেন আবদুল মালেক, ১৯৬৯ সালে জমির আলী, এবং ১৯৮০ সালে কোহিনূর আক্তার। এরা প্রত্যেকে বয়সে বিশাল এক ব্যবধানের মধ্যে থাকতে পারেন, কেউ ৬০ বছর বয়সে, আবার কেউ ৯৬ বছর বয়সে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনে দেখা গিয়েছে এক অদ্ভুত দৃশ্য, যেখানে এই প্রবীণরা সহপাঠীদের সঙ্গে স্মৃতি চারণে মেতে উঠেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কেক কাটা, বেলুন উড়িয়ে এবং পুরোনো দিনগুলোর স্মৃতিচারণে তারা যেন ফিরে পেয়েছেন তাদের কৈশোরের দিনগুলো, যেন আবার কিশোর-কিশোরী হয়েছেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাবেক ছাত্র ও এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ আবুল বাশার। ইঞ্জিনিয়ার শাহেদুজ্জামান ও ডা. রবিউল হাসানের পরিচালনায় এই প্রগাঢ় অনুভূতির আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সদস্য সচিব শামসুল হুদা ও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। প্রবীণ এই ছাত্ররা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান, বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তারা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। আবদুল মালেক আখন্দ তাঁর স্মৃতি শোনান, কিভাবে তিনি প্রথম এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। অন্যান্য প্রবীণ শিক্ষার্থীরা, যেমন কাজী আবদুল ওয়াদুদ, আব্দুল মতিন, সালেহ আহমেদ, মো. আখতারুজ্জামান, মোসলেহ উদ্দিন, শিল্পপতি মিজানুর রহমান ইকবাল, আবু মুসা ভূঁইয়া, বণিক ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া, মাসুদ পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন এবং ডা. মীর হোসেন মিঠু তাদের স্মৃতি ভাগ করে নেন। কেক কাটার পর ‘সোনালি সোপান’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়, যা এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি ১৯২৬ সালে ভরাসার গ্রামের দানবীর বরম উদ্দিনের ছেলে আফসার উদ্দিনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা আজও যুগের পর যুগ ধরে শিক্ষা দিচ্ছে। এই উৎসবের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এসে যায় শিক্ষা ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা।






