অধিকৃত পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলা ফিলিস্তিনিরা বিপদে পড়েছেন। এ পরিস্থিতি মানবিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের পথ ছেড়ে দেওয়া না হওয়ায় গাজার নাগরিকদের জন্য জীবন বাঁচানোর জরুরি প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ইসরায়েলের বাধায় অনেক ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না, যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
এক আন্তর্জাতিক বিবৃতিতে জাতিসংঘের কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (OCHA) জানিয়েছেন, গত ৯ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে এবং একজন নিহত হয়েছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায়। নিহতের মধ্যে চারজন শিশু।
এছাড়া, অধিকৃত পশ্চিম তীরের অব্যাহত বাস্তুচ্যুতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শেষ দুই সপ্তাহে বাড়িঘর ধ্বংস ও উচ্ছেদের ফলে ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৩ জন পূর্ব জেরুজালেমে এবং অন্যান্যরা এলাকার অন্যান্য অংশে।
ফিলিস্তিনের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ এবং প্রায় ২১ হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় ত্রাণের ঘাটতি ব্যাপকভাবে প্রকট হয়ে উঠছে। ইসরায়েলের বাধার কারণেই প্রয়োজনীয় ত্রাণ গিয়ে পৌঁছাতে পারছে না। পাশাপাশি, সরঞ্জামের অভাবে গাজনের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজ ব্যাহত হচ্ছে, যা স্থানীয় মানুষজনের生活্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।






