বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪,৫۰۰ ডলারের কাছাকাছি চলে গেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। একই সঙ্গে রুপা ও প্লাটিনামসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দামও নতুন রেকর্ড ধরে করেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারের এই পরিস্থিতি নিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। স্বর্ণের দাম বাড়ার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং বাণিজ্যিক অস্থিরতা। এর পাশাপাশি, বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, ২০২৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার আরও কমতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে।
স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম আজ ০.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪,৪৯৫.৩৯ ডলারে পৌঁছেছে। এর আগেও লেনদেনের সময়ে স্বর্ণের দামে কিছু কিছু সময়ের জন্য নতুন ইতিহাস তৈরি হয়, যখন এটি সর্বোচ্চ ৪,৫২৫.১৯ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচার্সের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ৪,৫২২.১০ ডলার পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, রুপার দাম ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি আউন্স ৭২.১৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে এটি ৭২.৭০ ডলার স্পর্শ করে ছিল। প্লাটিনামের দাম ২.৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে ২,৩৩৩.৮০ ডলারে উঠেছে, যদিও লেনদেনের এক সময়ে এর দাম ২,৩৭৭ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এছাড়াও প্যালাডিয়ামের দাম প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ১,৯১৬.৬৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি, যা ১৯৭৯ সাল以来 সবচেয়ে বড় বার্ষিক উত্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর পেছনে মূল কারণগুলো হলো নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার কমার প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপক ক্রয়, ডলারের দৌড় কমানো এবং ইটিএফের মাধ্যমে বিনিয়োগের বাড়তি রুচি। কিছু বিশ্লেষক ভবিষ্যতে আরো নেতিবাচক গোষ্ঠী দেখছেন, যেখানে আশা করা হচ্ছে, আসছে বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দফা সুদহার কমাতে পারে।
অপর দিকে, রুপার দাম বছরে ১৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্বর্ণের চেয়েও বেশি। এই বৃদ্ধি মূলত শক্তিশালী বিনিয়োগ চাহিদা, মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজের তালিকায় রুপার অন্তর্ভুক্তি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য বিদেশি কেনাকাটার ফলে হয়েছে।






