বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসাকে ঘিরে দেশের ইতিহাসে একটি অনন্য ও রাজকীয় ঘটনাই বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই প্রত্যাবর্তন এতটাই বিশিষ্ট এবং স্মরণীয় যে, এটি জাতির পক্ষে খুবই বিরল। তারেক রহমানের এই জাতীয় রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের ফলে পুরো দেশের মানুষ উৎসাহিত, আনন্দিত এবং স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সমগ্র বাংলাদেশ তার স্বাগত জানিয়েছে এবং তার প্রতি গভীর আস্থা ও সমর্থন ব্যক্ত করেছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ধরনের উচ্ছ্বাস এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা ক্লাসিক্যাল বা বিরল। এই প্রত্যাবর্তনের ফলে নতুন করে আশার আলো জ্বলছে। তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের পরিকল্পনা রয়েছে দেশের উন্নয়নের জন্য, বাংলাদেশের সামগ্রিক শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য এবং সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। তিনি আশ্বাস দেন, ইনশাআল্লাহ, জনগণের সমর্থনে তিনি এ উদ্দেশ্য সফল হবেন।
ফখরুল আরও যোগ করেন, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন মূলত বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে এক নতুন সুপ্রভাতের সূচনা। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অগ্রসরতার পথ সুগম হলো। তিনি উল্লেখ করেন, গোটা জাতি—বিশেষ করে গণতান্ত্রিক শক্তির মানুষজন—আশা করছে, এই নেতার নেতৃত্বে একটি সত্যিকার অর্থে সুখী, সমৃদ্ধ, এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
মহাসচিব জানিয়েছেন, দেশের ইতিহাসে খুব কম নেতাই এই ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থন ও গণঅভ্যর্থনা পেয়েছেন। তরুণ ও সম্ভাবনাময় এই নেতাকে আজ শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছে।
আকাশে এখন নতুন আশার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে—এ কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, এটি দেশের রাজনৈতিক দৃষ্টিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের প্রত্যাশা পূরণের পথ আরও সুগম হবে বলে তিনি বিশ্বাস জানান।






