রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে এক ব্যক্তির গণপিটুনিতে মৃত্যু হলেও সরকার ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত মনে করছে যে এটি কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির ফলে। নিহত ব্যক্তি অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট, যা শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজির মামলার আসামি ছিলেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে থাকা সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে বিদেশি পিস্তল ও পাইপগানসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। সরকার কঠোরভাবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের যে কোনও চক্রান্ত বা অন্যায় কার্যকলাপের বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো ধরনের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার সমর্থন করে না। পাশাপাশি, কিছু মহল নিহতের ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে phảnবত করার অপচেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। সরকার সকলকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে বিভ্রান্তিকর ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে। সরকারের মতে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সরকার বিশ্বাস করে যে, সব ধরনের অপপ্রচেষ্টা লুরিয়ে দেওয়া হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সূত্র: বাসস






