ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের জেরে এক বিএনপি নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর চারটার দিকে, সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ জাটিগ্রামে তার নিজ বাড়িতে। নিহত সাইফুল সরদার (৪৫) ব্রাহ্মণ জাটিগ্রামের হবি সরদারের ছেলে। তিনি জেলা বিএনপির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এই সময় হামলাকারীরা একই দলের অন্য একজন সমর্থক ইসমাইল মোল্যা (২৬)কেও কুপিয়ে জখম করে, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন বেশ গুরুতর, এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় পক্ষের আরও অন্তত ১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় শফিকুল মিয়া ও আইয়ুব মিয়াকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ফরিদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলফাডাঙ্গার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে ব্রাহ্মণ জাটিগ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম এবং বিদ্যাধর গ্রামের শাহাদৎ হোসেন খোকন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার রাতে জুয়েল মিয়া ও তার ছোট ভাই হাসিব মিয়ার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা পুলিশ এসেছে বলে দরজা খোলার জন্য বলে, এরপর দরজা খুলতেই সাইফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই সময় হামলাকারীরা সাইফুলের বাড়ির আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ভাঙচুর করে। পরে তারা ইসমাইল মোল্যার বাড়িতে ঢুকে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানী হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। আলফাডাঙ্গা থানার ওসি বলেন, দুপক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে রাতের এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা ও অন্যজনকে জখম করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে, এবং তদন্ত চলমান।






