বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেখতে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা বাসার সামনে জড়ো হন। গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনের দৃশ্য ছিল উচ্ছাধিক পরিপূর্ণ। অনেক নেতা-কর্মী বলেছেন, গণসংবর্ধনায় লাখ লাখ মানুষের মধ্যে তারেক রহমানকে সুন্দরভাবে দেখার সুযোগ পাননি; তাই সকালে তারা এখানে এসেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরে এসেছেন, যা দলের সদস্য ও সমর্থকদের মধ্যে বেশ খুশির আমেজ সৃষ্টি করেছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জের মো. ইসমাইল জানান, তিনি গত বৃহস্পতিবার গণসংবর্ধনায় এসেছিলেন, কিন্তু নেতাকে ভালোভাবে দেখতে পাননি। এজন্যই তিনি আজ বাসার সামনে এসেছেন, কারণ নেতার প্রতি তার যথেষ্ট ভালোবাসা আছে।
ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাসার সামনে অবস্থান করেন নেতা-কর্মীরা। এই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিএসএফ, পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, যারা বাসার নিরাপত্তা দেখভাল করছেন। বাইরের সড়কে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা ছবি তুলছেন ও বিনোদনের জন্য মোবাইলে ভিডিও করেন। সংবাদকর্মীরাও ভিড় করেছেন এই মুহূর্তের ছবি ধারণে।
তারেক রহমানকে দেখতে সকালে তারা বাসার সামনে যান ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য মো. মাঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, গণসংবর্ধনায় অংশ নিতে দুই দিন আগে ঢাকায় এসেছেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখানে মুলত ডাউনে না থাকলেও তিনি একনজর দেখার জন্য এসেছেন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার পর তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন। এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ বছর পর, গত বৃহস্পতিবার দিনগত সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি যান গণসংবর্ধনার প্রধান স্থল। পুরো পথে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। বক্তব্য দেন তিনি। এরপর অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে যান এভারকেয়ার হাসপাতালে। রাত সাড়ে ৭টার পর তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় ফেরেন। এখানেই পরিবারের সঙ্গেও থাকছেন তিনি।
আগে থেকে প্রস্তুত করা হয় এই বাড়িটি তারেক রহমানের জন্য। বাসা নম্বর ১৯৬, যা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মানে দীর্ঘদিনের ঘরোয়া বাসস্থান ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত।






