ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা পুরো এলাকাকে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় মাদ্রাসার ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে, যা প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও ককটেল, রাসায়নিক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ বেশ কিছু সন্দেহজনক উপকরণ উদ্ধার করেছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে অবস্থিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার একতলা ভবনে এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী,শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে গেছে। এদিনও অভিযান পরিচালনা করা হয়, যেখানে ককটেল, দাহ্য পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এই ঘটনার জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং ক্রাইম সিন দলের পাশাপাশি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতেন, তবে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ছুটির দিন থাকায় কোনো বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে এই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন (৩২), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং তাদের দুই ছেলে উমায়েত (১০), আবদুল্লাহ (৭) আহত হন। আছিয়া ও তাদের সন্তানদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় মেট্রো হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভবনের এক পাশে তিনটি কক্ষে মাদ্রাসার কার্যক্রম চলত, যেখানে পরিচালকের পরিবারসহ তিন বছর ধরে থাকতেন। পাশের ভবনের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, বিস্ফোরণে ভবনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেতরের আসবাবপত্রও ভেঙে পড়ে। ভবনমালিক পারভীন বেগম জানান, তিন বছর ধরে তার বাড়ির ভাড়া নিয়ে মুফতি হারুন মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছিলেন। তিনি তার শ্যালক আলামিন ও শ্যালিকার স্ত্রী আছিয়াকে দায়িত্ব দেন। তবে, অনেক সময়ই তিনি আশেপাশের কার্যক্রম সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পাননি। ঘটনার পর পুলিশ ভবন থেকে কেমিক্যাল, ককটেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম ব্যাপক পরিমাণে উদ্ধার করেছে। এই ভয়াবহ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।






