চট্টগ্রামের প্রভাবশালী ও আলোচিত হেফাজত নেতা মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনির জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ছাড়তেন, তার পরিবর্তে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে (প্রতীক: রিকশা)। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজেই এই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ অঞ্চল অংশবিশেষ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানানো হয়। দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনির হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং এর আগে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি হাটহাজারী উপজেলা পরিষদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রভাব ব্যাপক। নির্বাচনে তিনি নবগঠিত ১০ দলীয় নির্বাচনী জোটের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা এই দলবদলের মূল কারণ। ওই সমঝোতা অনুযায়ী, সারাদেশে মাত্র চারটি আসনে জমিয়ত ‘খেজুর গাছ’ প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছে, আর অন্য কোনো আসনে প্রার্থী দেয়নি। চট্টগ্রাম-৫ এই চারটি আসনের মধ্যে নয়, যার কারণে নাছির উদ্দীন জমিয়তের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছিলেন না। তার জন্য দল পরিবর্তন করে বৃহত্তর সুযোগ ও কর্ম সুযোগ সন্ধান করেন।
গত রবিবার তিনি জনপ্রিয় একটি ফেসবুক পোস্টে জমিয়ত ছাড়ার বিষয়টি ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, দীর্ঘ সময় এই দলের সঙ্গে কাজ করা তাঁর জন্য গর্বের বিষয়। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও বড় পরিসরে কাজ করার জন্য তিনি শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এবং মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পথে এগোতে চান। তিনি তাঁর এই নতুন যাত্রায় সকল শুভাকাঙ্খী, আত্মীয়-স্বজন ও অনুসারীদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-৫ আসনে নাছির উদ্দীন মুনিরের বিপরীতে গত রবিবারই বিএনপির শহীদ সদস্য ব্যারিস্টার মীর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্থানীয় নির্বাচনী লড়াইকে নাটকীয় ও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলবে বলে ধারণা। বর্তমানে তাঁরা প্রতিযোগীদের প্রচারণা চালিয়ে মাঠে নিজেদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।






