গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে পরিবারের সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন। এই বিশেষ মুহূর্তে শুধু রাজনীতিই নয়, পরিবারের আনুষ্ঠানিকতা এবং আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও একটি বিষয় আলোচনায় এসেছে। তা হলো তাদের লম্বা সময় ধরে প্রিয় বিড়াল ‘জেবু’। লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই লোমশ প্রাণীর প্রতি মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে ওঠে। এই কৌতূহলের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) তাদের পরিবারের একপ্রিয় সদস্যের পেজে কিছু সুন্দর, আবেগপ্রবণ ও বিস্তারিত ছবি পোস্ট করেছেন তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
জাইমা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন, প্রিয় জেবুকে নিয়ে সাধারণ মানুষের এত উৎসাহ দেখে তিনি অবাক ও আনন্দিত। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রাণীর উপর ভালোবাসা দেখান, তবে সেটি মহান আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সম্মান প্রদর্শন। ছোটবেলায় লন্ডনের বাসায় যখন জেবু এসে তাদের পরিবারের সদস্য হয়, তখন তাদের কল্পনাও ছিল না যে এই ছোট প্রাণীটি এতটাই পরিবারের অঙ্গ হয়ে উঠবে। কৌতুক করে তিনি জানান, অনেক সময় এমন হয়েছে যে তিনি বাড়ি ফিরে আগে জেবুর খোঁজ নিয়েছেন, তারপরই পরিবারের অন্য সদস্যদের খোঁজ নিয়েছেন। যখন তারেক রহমান বা ডা. জুবাইদা রহমান বাগানে কাজ করতেন বা হাঁটছিলেন, তখন জেবু সারাক্ষণ তাঁর পাশে ঘুরতো। এমনকি অনলাইন মিটিং চলাকালীন সময়েও জেবু শান্ত হয়ে তাঁর ক্লান্ত কোলে বসে থাকত এবং অনেক ভালোবাসা দেখাত।
জাইমা তাঁর লেখায় প্রাণীটার জীবন পরিবর্তনের কষ্টের দিকটিও তুলে ধরেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, মহাদেশ বদলে নতুন পরিবেশে আসা সহজ নয়, বিশেষ করে ছোট প্রাণীদের জন্য এটি অনেক চ্যালেঞ্জ। এই পরিবর্তনটি তাঁদের জন্য thật কঠিন, তবে এর মধ্য দিয়ে তারা ধৈর্য্য ও প্রাণপ্রেম শিখতে পেরেছেন। জাইমার মতে, ভাষা আলাদা হলেও ভালোবাসা স্বীকৃত প্রজাতির বিভাজন মানে না। জেবু তাদের এই কথা শিক্ষিয়েছে।
পোস্টের শেষে তিনি কিছু মজার তথ্য শেয়ার করেছেন। বলতে পারেন, জেবু সাধারণ বিড়ালের মতো না, কখনোই ‘মিউ মিউ’ ডাক দেয় না। ভুল করে আলমারিতে আটকে গেলে শব্দ করে না। তবে খুব খুশি বা অবাক হলে পাখির মতো এক ধরনের নরম শব্দ করে ডাকে। যদি কেউ তাকে কোলে তুলে নেয়, তবে সে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে হালকা শব্দ করে। এছাড়াও, যে বিড়ালগুলো পছন্দ করে না, তাদের দেখলে জোরে চিৎকার করে ওঠে। এই পোস্টটি মুহূর্তেই নেটিজেনদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে এবং প্রিয় নেতার পরিবারের মানবিক দিকগুলো আন্তরিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। মূলত, এই ছোট প্রাণীর মাধ্যমেই তারেক রহমানের পরিবারের ঘরোয়া ও সংবেদনশীল একটি গহীন ছবি দেখতে পেল দেশবাসী।






