ভুটানের বাঁহাতি স্পিনার সোনাম ইয়েশে ক্রিকেটজগতে এক অভাবনীয় ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া যে কোনো পর্যায়ের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাই ৮ উইকেট শিকার করে বিশ্ব রেকর্ডের স্বর্ণশিলায় পৌঁছে গেছেন। গত শুক্রবার ভুটানের গেলেফুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি চার ওভারে কেবল ৭ রান খরচ করে ৮ উইকেট তুলে নেন, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসে আগে কেউ কখনো করতে পারেননি।
এই অসাধারণ বোলিংয়ের ফলে মিয়ানমারকে ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারা মাত্র ৪৫ রানে সব wickets হারিয়ে ইনিংস সমাপ্ত করে। এর আগে ভুটান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছিল। এই সিরিজে এখন পর্যন্ত সোনাম ইয়েশে চার ম্যাচে মোট ১২টি উইকেট নিয়েছেন। সিরিজের শেষ ম্যাচটি আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
ইয়েশের এই ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সের আগে পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসের সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল মাত্র দুজনের। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন, এবং ২০২৫ সালে ভুটানের বিপক্ষে বাহরাইনের আলি দাউদ ১৯ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন। এর বাইরে ঘরোয়া বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এই রেকর্ড রয়েছে লেস্টারশায়ারের কলিন অ্যাকারম্যান এবং বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদের। তাসকিন ২০২৫ সালে বিপিএলে রাজশাহীর হয়ে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেন। কিন্তু ইয়েশে এই সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়ে ৮ উইকেটের নতুন শিখরে পৌঁছে গেছেন।
২০২২ সালের জুলাইয়ে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই ৩ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। এখন পর্যন্ত তাঁর খেলা ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোট ৩৭ উইকেট শিকার করেছেন। তাঁর এই বিশ্বরেকর্ড শুধুমাত্র ভুটানের ক্রিকেটের জন্যই নয়, বরং পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করেছে। মূলত নিখুঁত স্পিন আর নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথের জোরেই তিনি মিয়ানমারের ব্যাটিং লাইনআপকে একাই ধ্বংস করে দিলেন।






