দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর, দেশে ফিরে প্রথমবারের মতো আজ রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি যখন সেখানে পৌঁছান, বিস্ময়কর উষ্ণ অভ্যর্থনা ও উল্লাশের ঢেউ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রিয় নেতার সামনাসামনি দেখা পেয়ে নেতাকর্মীরা মনোবল ও উদ্দীপনায় ভরপুর হয়ে ওঠেন। সকাল থেকে নয়াপল্টন এলাকাজুড়ে জনসগ্ন থাকায় সেই এলাকা মনে হচ্ছিল এক বিশাল সমাবেশস্থল।
নয়াপল্টনের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষণিকের জন্য পুরো এলাকা যেন জনস্রোতে ভরে উঠে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর তারেক রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুননবী খান সোহেল ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, পাশাপাশি দলের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারেক রহমান সাধারণ মানুষের ক্ষমতা ও শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “আজ এখানে কোনও আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি নেই। রাস্তা বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হবে। আমাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা খোলা, যাতে সবাই নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে।” নেতাকর্মীরা এই নির্দেশনা শুনে রাস্তা ছেড়ে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেন।
দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তারেক রহমান বলেন, “সবার জন্য দোয়া করুন। আমাদের যা কিছু অবস্থান, সেখান থেকে দেশটাকে নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, তখন সেটি দেশের মানুষকে বিস্তারিত জানানো হবে।” তাঁর এই দায়িত্বশীল ও সাবলীল উপস্থিতি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তারেক রহমান নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ক কাজে যোগদান করছেন। গতকাল তিনি গুলশানের দলের কার্যালয়ে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন এবং আজ নয়াপল্টনের সাংগঠনিক কেন্দ্রের উপস্থিতি দিয়ে দলের কার্যক্রমে সম্পূর্ণভাবে ঢুকে পড়েছেন। এই প্রত্যাবর্তন দেশের প্রতিটি পর্যায় থেকে নতুন রাজনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মূলত, একটি সুসৃদ্ধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষার পরে, তিনি নয়াপল্টনের ঐতিহাসিক কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন।






