আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনেই খুলনা-৩ আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই আসনের অন্য নয়জন প্রার্থীকে বৈধ মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় তিনজনের আবেদনে ত্রুটি পাওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আরিফুর রহমান মিঠু, মো. আবুল হাসনাত সিদ্দিক ও আব্দুর রউফ মোল্ল্যা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের ১ শতাংশ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। খুলনা-৩ আসনের জন্য এইভাবে মোট ২ হাজার ৫৪৪ জন ভোটারের স্বাক্ষর দরকার ছিল। তদন্তে দেখা গেছে, আব্দুর রউফ মোল্ল্যা ও মো. আবুল হাসনাত সিদ্দিকের দেওয়া ভোটার স্বাক্ষরতার তথ্যে গরমিল আছে। আবার, এসএম আরিফুর রহমান মিঠুর মনোনয়নপত্র বাতিলের পেছনে তথ্যের অসংগতির পাশাপাশি ঋণখেলাপির বিষয়টি অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, যারা মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা পেয়েছেন, তারা হলেন— রকিবুল ইসলাম (বিএনপি), মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান (জামায়াতে ইসলামী), মো. আব্দুল আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন), জনার্দন দত্ত (বাসদ), শেখ আরমান হোসেন (এনডিএম), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (জাতীয় পার্টি), এফ এম হারুন অর রশিদ (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ খান লিটন ও মঈন মোহাম্মদ মায়াজ।
রিটার্নিং অফিসার আরো জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ পাবে। তারা আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের প্রত্যাহার করতে আগামী ২০ জানুয়ারির সময় নির্ধারিত। এখন এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে স্পষ্টতই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই এই কঠোর যাচাই-বাছাই চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।






