শনিবার সন্ধ্যা থেকেই দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে সন্ধ্যা থেকেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিআরসির একটি সূত্র জাগো বাংলা টুয়েন্টি ফোরকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পারে এজন্য ২৪ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ফাইবার অ্যাট হোমের হেড অব পাবলিক রিলেশন অ্যান্ড গভর্নমেন্ট আ্যফেয়ার্স আব্বাস ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান।
মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ তালাত কামালকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বাংলালিংকের কর্পোরেট কমিউনিকেশনস সিনিয়র ম্যানেজার আঙ্কিত সুরেকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি লিখিত প্রশ্ন পাঠাতে অনুরোধ করেছেন।
তবে অন্য একটি অপারেটরের পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো বাংলা টুয়েন্টি ফোরকে জানিয়েছেন, মোবাইল ডাটা বন্ধের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।
তবে কোথাও কোথাও বর্তমান ছাত্র আন্দোলন ইস্যুতে জ্যামার দিয়ে মোবাইল ডাটা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বালে তিনি উল্লেখ করেন।
সৈয়দপুর থেকে একজন পাঠক জাগো বাংলা টুয়েন্টি ফোরের কাছে ফোন করে জানতে চান দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কিনা?
তাদের এলাকাতে এয়ারটেল ছাড়া গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটকে মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছেন, বিটিআরসি থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেট সেবা নিয়ে কোন ধরণের নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
তবে তাদের বলা হয়েছে, ওপর থেকে যদি কোন নির্দেশনা আসে তাহলে জানানো হবে। এখন ইন্টারনেট সেবা নিয়ে যে বিভ্রাট হচ্ছে তা অপারেটরদের কারিগরি ত্রুটির কারণে হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনেক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হয়। কিছু জায়গায় নেটওয়ার্কের কারণে মোবাইল ইন্টারনেট পেতে সমস্যা হতে পারে, সেটা পুরোপুরি বন্ধের মতো না।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামাল দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ‘শিক্ষার্থীরা ফেসবুক ব্যবহার করে আন্দোলনের প্রচার চালাচ্ছে’- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ফোরজি ও থ্রিজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধের সুপারিশ করা হয়।