চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ছয় লাখ টন আমন চাল সংগ্রহ করবে সরকার। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস চলবে সিদ্ধ আমন চাল সংগ্রহ কর্মসূচি।
রোববার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ কমিটির সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য আধিদফতর এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকার গত বছর ৩৯ টাকা দরে ৬ লাখ টন আমনের চাল সংগ্রহ করেছিল।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ছয় লাখ টন আমন চাল সংগ্রহ করা হবে। চাল সংগ্রহ সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে আরও ২-৩ লাখ টন সংগ্রহ করা হবে। তবে সেটা পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে চালের দাম একটু কম। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে প্রতি কেজি চালের দাম ৩৩ টাকা থেকে ৩৪ টাকা। কৃষককে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অংশ হিসেবেই ৩৬ টাকায় চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারিভাবে চাল সাধারণত চুক্তির মাধ্যমে মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
আমন চালের উৎপাদন খরচ কত পড়েছে জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন খরচ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন খরচের মধ্যে একটু হেরফের আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী উৎপাদন খরচ কোনো অবস্থাতেই ৩৫ টাকার বেশি হয় না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন খরচটা একটু বেশি ধরা হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়ে আমরা আমনের ক্রয়মূল্য ৩৬ টাকা নির্ধারণ করেছি।
সভায় খাদ্য পরিস্থিতি ও মজুদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি খাদ্য গুদামে চাল ও গমসহ ১২ লাখ ১৮ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এরমধ্যে চাল ৯ লাখ ৬৮ হাজার টন। এটা সর্বোচ্চ মজুদ।
১৩ নভেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমন উৎপাদন ব্যয় প্রাক্কলন সংক্রান্ত এক সভায় প্রতি কেজি আমন ধানের উৎপাদন ব্যয় ২৫ টাকা ৩০ পয়সা ও চালের উৎপাদন ব্যয় ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।