এই দুই পরাশক্তি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। এতে অবশ্য ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা খুব একটা পাত্তা পায়নি ৫০-ওভার ক্রিকেটের ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ১৪ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র ৫টি। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে বাকি ৯টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টিতে এই দুই দলের একবারের দেখায়ও শেষ হাসি হেসেছে অস্ট্রেলিয়া।
আজকে (১৪ নভেম্বর) দুবাইয়ের পিচ ব্যাটিং বান্ধব হলে নিউজিল্যান্ড অবশ্যই আগে ব্যাটিং করে বড় স্কোর করতে চাইবে। কেননা, টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কোর তাড়া করে নিউজিল্যান্ড জিতেছে মাত্র একবার। অপরদিকে, আগে ব্যাটিং করে জিতেছে ৪ বার।
অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য আগে-পরে দুই সময় ব্যাটিং করেই জেতার পাল্লা প্রায় সমান, যথাক্রমে ৫ ও ৪ বার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টপ স্কোরার অ্যারন ফিঞ্চ (২৫১ রান)। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মার্টিন গাপটিল (৪৩৫ রান)। দুই জনই আজ মাঠে নেমে সংখ্যাটাকে আরও অনেক বড় করতে চাইবেন।
আজ সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে নিউজিল্যান্ড দল পুরোটা সময়ই খুঁজে ফেরার কথা। কেননা, তারই যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং গড় আর এক ইনিংসে ব্যক্তিগত রান সবচেয়ে বেশি, যথাক্রমে ৫৭ ও ১১৬। কিউইদের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন ইশ সোধি (১৬টি)। বামহাতি অফস্পিনার অ্যাশটন অ্যাগারকে ঠিক কতটা মিস করবে টিম অস্ট্রেলিয়া? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অজিদের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট যে তারই (১৩টি)।
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের নাটকীয়তা নিয়ে ভেবে আজও নিউজিল্যান্ডের সমর্থকেরা অশ্রুসিক্ত হয়ে যান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারও হয়েছিল টাই। তার পর, ম্যাচজুড়ে কিউইদের চেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাকানোয় বিশ্বকাপ হাতে উঠে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগানের। নিউজিল্যান্ডের গায়ে “সেমিফাইনালের দল” তকমাটা আজকালের নয়। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আজ এই তকমা ঝেড়ে ফেলতে পারবে কি নিউজিল্যান্ড? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আজ রাতেই!