কয়েক দিন আগে, রাজস্থানের ভরতপুরে অভিনেতা শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তারা কোনও নামী গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে এমন একটি গাড়ির প্রচার করেছেন যা প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটি নিয়ে বাজারে এসেছে। তবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলাকালীন সময়ে আদালত এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তার ফলে আপাতত তারা কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।
অভিযোগকারীর অভিযোগ, তিনি একটি গাড়ি কিনেছেন, যার ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন শাহরুখ খান ও দীপিকা। সেই গাড়িতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, আর এই কারণে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। তিনি অভিযোগ করেন, এই গাড়ির কারণে তার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে। আরো বলা হয়, তিনি এই গাড়ি প্রায় তিন বছর ধরে ব্যবহার করছিলেন এবং এর মধ্যে তিনি ৬৭ হাজারের বেশি কিলোমিটার চালিয়ে গাড়িটি ব্যবহার করেছেন।
শাহরুখ এবং দীপিকা দুজনেই তাদের আইনি পরামর্শদাতাদের মাধ্যমে রাজস্থান হাইকোর্টে এই এফআইআর বাতিলে আবেদন জানান। তারা যুক্তি দেন যে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তাদের দায়িত্ব সীমিত, এবং তাদের বাধ্যবাধকতা বা দোষের কোনো অংশ নেই। শাহরুখের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এই মামলার সঙ্গে অভিনেতার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই এবং এই ‘ত্রুটির’ জন্য তিনি দায়ী নন। একইভাবে, দীপিকার পক্ষের আইনজীবী মাধব মিত্রও দাবি করেন যে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না গাড়ির মান নিয়ন্ত্রণে। এই মামলায় বলা হয়েছিল, গাড়ির গুণগত মানের কারণে অভিযুক্তরা অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতি ভোগ করেছেন।
তবে সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি এই গাড়ি প্রায় তিন বছর ব্যবহার করেছেন এবং অভিযোগের আগেই তিনি মোট ৬৭ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছেন। ফলে, তার অভিযোগের প্রতি আদালত ছাড় দিয়ে, তারা বলেছেন যে যদি গাড়ির কোনও ত্রুটি বা দোষ থাকে, তাহলে এই অভিযোগ তিনি আরও আগেই আদালতের কাছে আনতে পারতেন। এই সিদ্ধান্তে, শাহরুখ এবং দীপিকার স্বস্তি ফিরে আসেছে এবং আপাতত তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন।