বিদায়ী সপ্তাহে (৭ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই সময়ে দুই বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, এর মধ্যে ডিএসইতে ছিল ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং সিএসে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি টাকা। এই তথ্য জানিয়েছে ডিএসই ও সিএসই সূত্র।
ডিএসইর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯০ পয়েন্ট বা ১.৬১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৫২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বা ১.৪৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩৩ পয়েন্ট বা ২.৭৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
অতীতে, সপ্তাহের প্রথম দিকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমলেও এই সপ্তাহে তা আরও μειে যায়। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা এই সপ্তাহে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। ফলে লেনদেনের পরিমাণে প্রায় ৭৪৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার পতন দেখা গেছে।
শেয়ার বিক্রয় ও কেনার তালিকায় এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, দর কমেছে ২৫০টির এবং অবশিষ্ট ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে, গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়নি ১৬টি কোম্পানি।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এই সপ্তাহেও কিছুটা কমেছে। সিএসইর সূচক সিএএসপিআই ১৮৩ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে। সিএসইতে এই সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ১০০ কোটি ২৩ লাখ টাকার তুলনায় কমে গেছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।