দেশে সব ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কিছু কুচক্রী মহল, কিন্তু জনগণই এসব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দৃঢ়ভাবে অবিচল। এই দেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ বা অন্য কোন পার্থক্য ভুলে একে অপরের সুখ-দুঃখে একসঙ্গে থাকেন। তবে কিছু দুষ্টচক্র দেশের ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতি ভঙ্গের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব ষড়যন্ত্র জনগণ এখন কঠোর সচেতন, তারা এটি সফল হতে দেবে না।
গত রোববার সন্ধ্যায় বরিশালের কাউনিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অগণিত ভক্তের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত দীপাবলি উৎসবের সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল কৌশলে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে গেছে। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক শক্তি একযোগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সব মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর প্রয়াস চালানো হয় এবং উৎসবের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে। জনগণের একত্রে সচেতনতার কারণে এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো কিছু ভেদভেদের পেছনে থাকা কুচক্রী মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা শুধু এক ধর্মের নয়, বরং পুরো জাতির শত্রু ও গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ। বিএনপি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি ভবিষ্যতেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি অবাধ, সমন্বিত ও সুখী বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করেন যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ও সম্মান পাবে।
দীপাবলি উৎসবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি, মহানগর বিএনপির সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা এবং সাধারণ মানুষ। উৎসবের পর আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ মন্দির প্রাঙ্গণে আলো প্রজ্জ্বলন করে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের জন্য আর্জি জানান। অনুষ্ঠানটি ছিল এক গৌরবোজ্জ্বল মিলনমেলা, যেখানে সবাই একত্রে ত্যাগ, সেবা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।






