নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শনিবার গভীর রাতে এক মাদরাসা ছাত্রকে বিভৎসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ঘটনা স্বচক্ষে দেখে আশপাশের ছাত্র-শিক্ষকরা দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। ঘটনা ঘটেছে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায়।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জানান, রাতে ওই ছাত্রকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।
নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩), যিনি চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যারের ছেলে। অপরদিকে, আটক ছাত্রের নাম আবু ছায়েদ (১৬), সে ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ও ছায়েদ পবিত্র কোরআন হেফজ করছিল। কিছু দিন আগে, টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়। তবে বিষয়টি মাদরাসার একজন শিক্ষক মিটিয়ে দেন। এরপরও দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই, ছায়েদ দেড় সপ্তাহ আগে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনে, বিষয়টি পরিকল্পিত বলে ধারণা করেন অনেকে।
শনিবার রাত ২টার দিকে অন্য ছাত্ররা ঘুমিয়ে পড়লেও, ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে অন্য ছাত্রদের অগোচরে নাজিমকে জবাই করে দেয়। নজিরবিহীন এই হত্যাকাণ্ডের সময় নাজিমের গলার শব্দ শুনে পাশে থাকা আরেকজন ছাত্র ও শিক্ষক দ্রুত জেগে উঠেন এবং ঘটনাস্থল দেখতে পান।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত ছাত্রকে হেফাজত করেন ও উপযুক্ত তদন্ত শুরু করেন। হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি জব্দ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এ হত্যাকাণ্ড টুপি পরা নিয়ে দুজনের ভিন্নমত বা বিরোধের জের। মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ এই নৃশংস ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।






