বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের শত্রুরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একদিকে অনিশ্চয়তা এবং হতাশার চেহারা নিচ্ছে, সাধারণ মানুষ বারবার ভাবছেন, সামনে কী হতে যাচ্ছে বা কী হবে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বাংলাদেশের কিছু শত্রু আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ছোট ছোট কৌশলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তারা মিথ্যা প্রচার ও প্রপাগান্ডা চালিয়ে দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। গতকাল রোববার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় তিনি ৭ নভেম্বরের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে দেশের ঐক্য এবং স্বাধীনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশের মুক্তির জন্য তাঁর নেতৃত্বের স্মৃতি আজও আমাদের হৃদয়ে রয়ে গেছে। একইভাবে বর্তমান নেতা তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশের জন্য নতুন আস্থা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজ করে চলেছেন, যা দেশের অপরিহার্য অর্জন।
নয়া পল্টনে সাংগঠনিক বৈঠক শেষে ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে দলের এবং অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। এই সভায় বিএনপি মহাসচিব সভাপতিত্ব করেন এবং পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
মহাসচিব উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বের সময়কাল তুলে ধরে বলেন, তার শাসন আমলে দেশ এক নেয়ামতপূর্ণ যাত্রা শুরু করেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, শত্রুরা দেশের আদর্শবাদী এই নেতা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নির্মমভাবে হত্যা করে, যা দেশের এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করে।
জিয়া রহমানের বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, গণমাধ্যম ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচির উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দর্শন ও বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের মূল দর্শন কখনো পরাজিত হবে না। এই মানসিকতা নিয়ে বিএনপি কখনো হোঁচট খায়নি, বরং ধাক্কা খেয়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের রাজনৈতিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিবস, এ কারণেই আমরা ঐতিহ্যটি স্মরণ করে রাখি এবং জিয়াউর রহমানের দর্শনের ভিত্তিতে অগ্রসর হতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী Shamsur Rahman Shimul বিশ্বাসসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।






