আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। এই সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঐক্যবদ্ধতা গড়ে তোলার জন্য প্রণীত জুলাই সনদ ও এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য। সভায় জানানো হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সময়সূচি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, গণভোট কবে হবে, এর বিষয়বস্তু কী হবে এবং জুলাই সনদে যে নানা মতভেদ রয়েছে—এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত আলাপ-আলোচনার দরকার। তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়। আইন উপদেষ্টা বলিষ্ঠভাবে জানান, এই দিকনির্দেশনা না থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হবে, তাই এখন থেকে সময় নষ্ট না করে আগামীকাল বা পরের দিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতিতে দেরি করাটা ঝুঁকিপূর্ণ, যা সকলেরই বিবেচনায় রাখার দাবি। সভায় জানানো হয়, জাতীয় ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও সংবিধান সংস্কারের প্রসঙ্গও আলোচনায় এসেছে। দীর্ঘ আলোচনার পরও বিভিন্ন সংস্কারaskaসল ও গণভোটের তারিখ নিয়ে মতভেদের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই পরিস্থিতিতে গণভোটের সময়সূচি, বিষয়বস্তু এবং সংবিধানে সংশোধনের বিষয়ে অবিলম্বে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলো ও ঐকমত্য কমিশনের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাউজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ভবিষ্যত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দেশের উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।






