রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টার আভাসে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, যদি অন্য দলগুলো তার আহ্বানে সাড়া দেয়, তাহলে তিনি আলোচনা করতেও প্রস্তুত থাকবেন। তবে এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ। তাহের এ কথা বলেছেন গতকাল সোমবার আট দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে দলগুলোর নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন, এবং সেই সঙ্গে নতুন কর্মসূচি হিসেবে সমাবেশ ও গণমিছিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতিনিধিরা রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে জরুরি সভা করে ঐক্যবদ্ধভাবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করেন। সভা শেষে এই দলে একযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়। তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআরের ব্যাপারে আট দল, জনগণ ও সরকার এককথায় সমর্থন দিয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এই দাবির পূরণ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনা করতে রাজি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি উপদেষ্টা পরিষদ কিছু না করে আমাদের ওপরেই সব ছেড়ে দেয়, তবে রেফারির দায়িত্ব কে পালন করবে?’ তাহের বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করে একমত হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে সরকারের রোল হলো রেফারির মতো দায়িত্ব গ্রহণ করা। সব দল, সব ধরণের মতামতকে কেন্দ্র করে আলোচনা চালাতে চায়।’ পাশাপাশি, বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট হলে সেই ভোটের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না।’ বিএনপির একেকজন নেতার বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে একেকজন একেক মন্তব্য করছেন, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।’ একই অনুষ্ঠানে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে পরবর্তী নির্বাচন বৈধতা পাবে না। একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি, দুই একই দিনে অনুষ্ঠিত হলে এর কোনও ঐতিহাসিক নজির নেই।’






