ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, যেখানে তারা মোট ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। এই ঘোষণা সোমবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রদান করা হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানিয়েছেন, উল্লেখ করে যে, যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, সেগুলোর তালিকা পরে আসবে। কিছু আসন শরিক দলের জন্য অক্ষতভাবে রেখ থাকবে বলেও তিনি জানান। বাজেটের দিক থেকে নজর রাখা হচ্ছে ইচ্ছে থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে পছন্দসই প্রার্থী বাছাই করার জন্য।
খালেদা জিয়া বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সঙ্গে থাকছেন তারেক রহমান, তিনি বগুড়া-৬ থেকে লড়াই করবেন। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিই সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেবেন, যেমন- মির্জা ফখরুল তিনি ঠাকুরগাঁও-১, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা-৩, আরেক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নানা জেলার প্রার্থীরা।
প্রতিটি আসনের জন্য মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন- ঢাকার বিভিন্ন আসনে খন্দকার আবু আশফাক, আমীন উল্লাহ আমান, গয়েশ্বর চন্দ্র, তানভীর আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, ইশরাক হোসেন, মির্জা আব্বাস, সাইফুল আলম নীরব, সানজিদা তুলি, আমিনুল হক।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে প্রার্থীদের তালিকা ব্যাপক ও বিস্তারিত, যেখানে তাদের বিভিন্ন জেলার শহর ও উপজেলা থেকে মনোনীত প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রার্থী নির্বাচনের আগে সকাল পৌনে একটার দিকে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠক বসেন। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যেখানে নির্বাচনী প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয় এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, যেমন- খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও হাফিজ উদ্দিন। এছাড়া দলের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশ নিয়েছেন।






