রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সামনেই আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান তার অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান এ দেশের স্বার্থে কথা বলেছেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এ কারণে আমজনতার দলের অবশ্যই নিবন্ধন পাওয়া উচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে তিনি এই বক্তব্য দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমজনতার দল ইতোমধ্যে আবেদন জমা দিয়েছিল, কিন্তু তা বিবেচনা করা হয়নি। তিনি দেখতে পান, কিছু ছোট দল যাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি খুবই গুরুত্বহীন, তারা করলেও নিবন্ধিত হয়ে গেছে, অথচ তারেক রহমানের দলের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না কেন, তা তিনি বোঝাতে পারেননি। তিনি বলেন, তিনি একটি বৈধ রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। এর জন্য তারা নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তারেক রহমান কোনো গোপন রাজনৈতিক দল গঠন করেননি, তিনি যে আইন অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক দল করেছেন, সেটার বৈধতা চেয়েছেন। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ হতো, তাহলে গোপনে কোনও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালাতেন। তবে, তারেক রহমান কোনরকম রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করেননি।
রিজভী বলেন, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এই নেতা (তারেক রহমান) সত্য কথা বলেছেন। তিনি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তভাবে কথা বলেছেন, দেশের স্বাধিকার ও মর্যাদার জন্য নিজের বক্তব্য রেখেছেন। যারা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার। আজ তার দলের নিবন্ধন না দেওয়া হলে, নির্বাচন কমিশন কি করে অন্যান্য দলকে নিবন্ধন দেবে?
তিনি আরও বলেন, আমি কাউকে ছোট করে দেখতে চাই না। তবে তারেক রহমানের চিন্তা, রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং কর্মসূচির ভিত্তিতে গঠিত তার দল, ‘আমজনতার দল’, অবশ্যই নিবন্ধনের যোগ্য। এই ন্যায্য ও সুবিচারপ্রাপ্ত দাবির পক্ষে বাংলাদেশের জনগণের সংহতি প্রকাশ করছি, কারণ এটাই ন্যায্য ও নৈতিক।
তিনি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে তারেক রহমানের অনশন শুরু হয়, এরপর থেকেই বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা সংহতি জানিয়ে তাবৎ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন এবং অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সবই দেশের স্বার্থের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে এক শক্তিশালী বার্তা।






