ঢাকার আদালতে এক কঠিন মামলায় যুক্ত হয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, মামলা সম্পত্তির মামলা না, বরং সাম্প্রতিক ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে মারধর, নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর অপরাধ। অভিযুক্তরা হলেন- ফাউন্ডেশনের সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা আফজালু রহমান সায়েম, এক্সিকিউটিভ সদস্য সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া আক্তার লুবনা, ফাতেমা আফরিন পায়েল, কর্মকর্তা আলিফ, মেহেদী হাসান প্রিন্স ও জাহিদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’। ২০২৩ সালের ২৭ মে তিনি অনুদান চেয়ে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচিত একজন কর্মচারী ও অন্যদলীয় সদস্যরা তাকে আলোবিহীন একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তারা তাঁকে মারধর করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে যে, তিনি গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা বলার জন্য চাপ দেয়। বাদী অভিযোগ করেন, আঘাতের সময় সাইদুর পাইপ দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। ফলে তিনি জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে আসার পরে আবারও তাকে মারধর করা হয়। আসামিরা ডরে-ধাক্কায় বাদীর মোবাইল কেড়ে নেয় এবং বিএনপি নেতার সাথে ছবি দেখানোর অপরাধে আবারও তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে, যখন জোরপূর্বক বাদীর ডান হাতের ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। পরে আহত অবস্থায় তিনি চিকিৎসা নেন। এই জঘন্য ঘটনাগুলোর জন্য বাদী মামলা করেন এবং পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ আরো উঠে, অভিযুক্তরা তাঁকে চাপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখানো ও হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার ফলে বাদীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, যার জন্য তিনি কঠিন চিকিৎসায় বসবাস করছেন। আইনশৃঙ্খলা ও বিচার বিভাগ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।






