সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে গুণী এই সংগীতশিল্পী তাহসান দ্রুত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রাকটিস করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তাহসান। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলেছিলাম, কিন্তু তার মাঝে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। আমি যেন আগামীর কোনো দিনই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে ব্যক্ত করিনি, যা এখনো আমার সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে যে জিনিসটা ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তিনি স্পষ্ট করেন।
তাহসান আরও বলেন, কনসার্টে যখন আমি গান ছাড়ার কথা বলেছিলাম, তখন খুবই কম মানুষ উপস্থিত ছিল। আমি কখনো ভেবেছিলাম তা সারা দেশে এত দ্রুত ভাইরাল হয়ে যাবে। তিনি জানান, ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে বিরতি নেয়ার মতোই গান থেকেও বিরতি নিচ্ছেন, কারণ আমি একজন আবেগপ্রবণ ও কবি মানুষ। আমার কিছু কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়, যার ফলাফল হিসেবে এই সব গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
তাহসান উল্লেখ করেন, বর্তমানে অনেক মানুষ ভাইরাল হওয়ার নেশায় আক্ষরিক অর্থে মগ্ন, যা পৃথিবীর নানা প্রান্তে দেখা যায়। তিনি মনে করেন, এই ধরনের গুজব ও ভাইরাল হওয়ার খেলা এক ধরনের গেমের মতো, যেখানে কথা বলা খুবই সচেতনতা দাবি করে। কোন কথাটা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা বুঝে কথা বলতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান যুগে দর্শক সংখ্যায় কম থাকলেও সমালোচকদের সংখ্যা খুবই বেশি। এই সময়ে সঠিক ও সত্য সংবাদ প্রচার খুবই জরুরি। তিনি সকল সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, সত্য সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে।
তাহসান আরও জানালেন, কয়েক মাস আগে একটি অনলাইনে খবর বের হয়েছিল যে তিনি বাবা হয়েছেন। সেই খবর পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনও প্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সত্যি হচ্ছে, তা ছিল একেবারেই মিথ্যা। আসলে, তিন-চার বছর আগে আমার এক ছোট ভাই বাবা হয়েছিলেন, তখন আমি হাসপাতালে গিয়ে তার ছবি তুলি। সেই ছবি দিয়ে এই ভুল খবরটা রটানো হয়েছিল।
তিনি তৎক্ষণাৎ বলেন, যারা এ ধরনের ভুয়া খবর ছড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আমি পোস্ট করলে তারা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে যায়। ওইসব কাজ মূলত সাংবাদিক ভাইদের, যারা আমাদের মতো শিল্পীদের রক্ষা করবেন। কারণ, আমরাও একটি শিল্পের অংশ, এবং এই শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।






