ভারতের রাজধানী দিল্লির লালকেল্লায় গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে প্রচারিত খবর पूरीপুরি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বাংলাদেশে নিযুক্ত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সুযোগ পেলেই ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করে থাকে। লালকেল্লার ঘটনায় বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্টতা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মনগড়া ও দায়সারা প্রতিবেদন দুদেশের সম্পর্কের জন্য উপকারী নয়। বাংলাদেশের সরকার সবসময়ই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়, যখন দিল্লির লালকেল্লার কাছাকাছি একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি চলন্ত গাড়িতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু ঘটে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, এই দুঃসময়ে তারা ভারতের পাশে রয়েছে।
হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই দুঃখজনক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আন্তরিক সমবেদনা ও প্রার্থনা সব নিহত ও আহত ব্যক্তির জন্য। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালবাগে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
অভিযোগের পর, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত লালকেল্লাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এই তিন দিন দর্শনার্থীরা লালকেল্লা পরিদর্শন করতে পারবেন না। এছাড়া, দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।






