আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া এখন স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক পথেই এগোচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের বিবৃত পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে এসব অপচেষ্টা রুখে দিচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসিকিউটর আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এবং সুষ্ঠুভাবে বিচার পরিচালনা করছে, এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার তারই একটি অংশ। অন্যান্য আরও এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, বর্তমানে চলমান বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলো কি বিচারব্যবস্থার জন্য কোনো হুমকি তৈরি করছে? মিজানুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনাগুলো বিচার ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করছে না। তবে তারা চেষ্টা করছে এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার।
জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা চলছে, যেহেতু কবে রায় ঘোষণা হবে তা আগামীকাল বৃহস্পতিবার জানা যাবে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কি সেই তারিখ আসতে পারে, নাকি আবার অপেক্ষা করতে হবে? এর উত্তরে প্রবীণ প্রসিকিউটর বলেন, রায়ের তারিখ নির্ধারণের পূর্ণ এখতিয়ার ট্রাইব্যুনালের। তবে তারা এই আশা করছেন, কালকের মধ্যে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব।
শেখ হাসিনার বিচারাধীন মামলার সাক্ষাৎকারগুলো বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে, মিজানুল বলেন, বিদেশি গণমাধ্যমের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে না। তিনি সমালোচনা করেন, যারা এই সাক্ষাৎকারগুলো নেয়, তাদের উচিত এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া যে, এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, যা আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে এসেছে। তদ্ব্যতীত জানান, এই সাক্ষাৎকারগুলো শেখ হাসিনারই অবস্থান প্রকাশ করছে।
এছাড়াও, তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার নিয়ন্ত্রণে নয়; বিচারকরা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় তারা কোনও প্রকার বাহ্যিক হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেন না।
আরেক প্রশ্নে, যেখানে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা মামলার রায়ের দিন ধার্য হতে পারে এবং সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগ করে জাতিসংঘে অভিযোগ দাখিলের ব্যাপারেও আলোচনা হয়, সেখানে মিজানুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেন না, কারণ বিষয়টি তাদের নজরে আসে না। তিনি উল্লেখ করেন, সোহেল তাজের একটি বক্তব্য রয়েছে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের বড় সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে, এবং বিদেশে নিজেকে নিরাপদ করতে তারা এই ধরনের অপপ্রচারে মনোযোগী। এরপর তিনি অবাক করে বলেন, আওয়ামী লীগ জাতিসংঘে যে অভিযোগ জানিয়েছে, সেটি কেন ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই।






