বাংলা সাহিত্যের অমর কথাসাহিত্যিক ও সৃজনশীল লেখক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। তাঁর স্মৃতি ও সাহিত্যের ধারাকে সম্মাননা জানাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালির লাহিনীপাড়ায় দুই দিনব্যাপী এই জন্মোৎসব শুরু হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগितায় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর।
আয়োজনে সজ্জিত হয়েছে একটি বিশাল গ্রামীণ মেলা, যেখানে বাহারি রঙের পসরা সাজিয়ে দোকানিরা দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছেন। স্থানীয় শিল্পী, সাহিত্যপ্রেমী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন, যাতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণ জেগে উঠছে।
দ্বিতীয় দিনটি বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়ায় বুকের ধাক্কা দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।
প্রথম দিন বিকেলে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলার আসর ও আলোচনা সভা। এরপর রাত পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাট্য পরিবেশন। দিনটিতে মঞ্চে আলোকিত হবে কবির জনপ্রিয় নাটক ‘জমিদার দর্পণ’।
অবশেষে, শুক্রবার মধ্যরাতে কবির কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’ অবলম্বনে নাটক ‘এজিদের পরিণতি’ প্রদর্শিত হবে, যা দিয়ে এই বিশাল জন্মোৎসব শেষ হবে।
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গৌর নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলার অন্যতম প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও রচয়িতা, যাঁর জীবন ও সাহিত্য আজও মানুষের হৃদয়ে অম্লান। তার বাবার নাম সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন এবং মায়ের নাম দৌলতন নেছা। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি পরলোকে চলে যান, এরপর তাকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুরে সমাহিত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘কবির ১৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই উপলক্ষ্যে বিশেষ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং আমরা গর্বিত এই মহৎ উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য।’






