আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংলাপে অংশ নেওয়া হল প্রথম দফায় নিবন্ধিত ১২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছয়টির সাথে। বাংলাদেশে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দল ও সংগঠন থেকে মতামত নেওয়ার জন্য ইসি স্বপ্রণোদিত হয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে অংশ নেন ছয়টি দল: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। একই দিন বিকেল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অন্য ছয়টি দল—কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)—এর সাথে বৈঠক হয়।
নির্বাচন কমিশনের চারজন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, “আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি বিশাল কর্মসূচি, যেখানে সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক ও নারীনেত্রীসহ সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত ও পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রেক্ষিতে, ভোটের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।”
আখতার আহমেদ, ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, “এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), আচরণবিধিতে পরিবর্তন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা বিষয়ক আলোচনা করা।”
এর আগে, ইসি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নারী নেত্রী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করেছে। এসব মতবিনিময় থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও সাজেশনের ভিত্তিতেই আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় এই সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে কমিশন।






