দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল বুধবার আবেগপ্রবণভাবে জনসম্মুখে ঘোষণা করেছে যে তারা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং তাঁর স্ত্রী সিতারা আলমগীরের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি তদন্তের ভিত্তিতে উঠে এসেছে যে, তারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, সংস্থাটির মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার জন্য প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওই সময়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনে মোট বাংলাদেশি ২১৬ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯ টাকা এবং আনুমানিক ৬ হাজার ১৮৮ মার্কিন ডলার জমা-পোকার হয়েছে। অপ্রত্যক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির নামে বা মালিকানাধীন ব্যাংক खातায় জমা দেওয়া হয়েছে।
অদ্ভুত বিষয় হলো, এই অর্থের উৎস বা লেনদেনে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বা বৈধতা যেন কোথাও পাওয়া যায়নি। এ কারণেই দুদক মনে করে যে, এই অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, অর্থের উৎসপ্রচেষ্টার অপচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র রয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ৪(২) ও ৪(৩) এর বিরুদ্ধে যায়।
শুধু অর্থ স্থানান্তরই নয়, এই লেনদেনের সময়কাল ছিল ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, যমুনা ব্যাংক পিএলসি, আইএফআইসি ব্যাংক ও অন্য বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত চলমান রয়েছে।






