যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ওয়েলসের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও উদ্ভাবনের সুযোগ অন্বেষণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তাদের কাছে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উত্থানকামী বাজারের সুযোগগুলো তুলে ধরেছেন।
সম্প্রতি ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (ডব্লিউবিসিসি) আয়োজিত ব্যবসায়িক এক্সপো ও সেমিনারে অংশগ্রহণকালে হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ওয়েলসের জন্য বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনাময়তা স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে নতুন নতুন গবেষণা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও শিল্পখাতে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগগুলো উল্লেখ করেন।
বুধবার ঢাকায় এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ওয়েলসের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন ওয়েস্ট গ্লামরগানের লর্ড লেফটেন্যান্ট লুইস ফ্লিট, অর্থমন্ত্রী মার্ক ড্রেকফোর্ড এবং ওয়েলসের সেক্রেটারি অব স্টেট জো স্টিভেনস।
অধিক আলোচিত হয় বাংলাদেশের গতিশীল অর্থনৈতিক রূপান্তর। আবিদা ইসলাম সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জীববিজ্ঞান, ফিনটেক, সেমিকন্ডাক্টর, শিক্ষা, পর্যটন ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়গুলো, যেখানে বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
একটি প্যানেল আলোচনায় এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি ওয়েলসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আসন্ন বাণিজ্য মিশনে অংশগ্রহণ করে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি ফিনটেক ওয়েলস এবং চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ওয়েলস-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভবিষ্যতে সরকারি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনায় বসেন তাঁরা।
ডব্লিউবিসিসি’র এই এক্সপো ও সেমিনার বাংলাদেশ-উয়েলস অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করেছে, যা দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়ানো এবং যৌথ সমৃদ্ধির পথ আলোকিত করেছে।






