সচেতন নাগরিক কমিটি, ইয়েসগ্রুপ (সনাক) ও এসজিসি মাদারীপুর শাখার সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য দিনব্যাপী এই আয়োজনটি বৃহস্পতিবার সরকারি সমন্বিত অফিস ভবনের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সচেতন নাগরিক কমিটির মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি খান মো. শহীদ এবং পরিচালনা করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাদাত হোসেন লিটন। এ সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সুজনের জেলা শাখার সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন নান্নু, সনাকের জেলা আহ্বায়কা আঞ্জুমান জুলিয়া, জেলা সনাকের সহসভাপতি আন্না আকতার, সুজনের সদস্য কুমার লাভলুসহ আরও অনেকে অংশ নেন।
অতিথিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ঢাকার কো-অর্ডিনেটর মো. আতিকুর রহমান, ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মাহান উল হক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রবীণ শিক্ষক মহাদেব বর্মন ও প্রফেসর (অব.) মো. মকবুল হোসেন। বক্তারা বলেন, আজ আমাদের সমাজে দুর্নীতি এমন ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে যে, সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানই দুর্নীতির কবলে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে একত্রিতভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার জন্য এরই মধ্যে টিআইবি ২০০১ সালে ঢাকায় ৯ সদস্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা দেশে ১২ হাজারের বেশি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত, সামাজিক, সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে সোচ্চার হওয়ার দরকার রয়েছে। দেশের সব স্তরে দুর্নীতি দমন করতে না পারলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। গত কয়েক দশকে দেশ থেকে বিদেশে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। লন্ডনে সম্প্রতি এক সরকারের মন্ত্রীর ৩৬০টি ফ্ল্যাট থাকার খবর প্রকাশ পেয়েছে।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, ভূমি অফিস, বিআরটিএ, রেজিস্ট্রি অফিস ও পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতির প্রভাব চোখে পড়ে। এই বিষয়ের উপর আলোচনা চলাকালে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলার মাদারীপুর প্রতিনিধি শরীফ মো. ফায়েজুল কবীরসহ এলাকার গুণীজন ও অতিথিরা। তাঁরা দেশের দুর্নীতি রোধে সবাইকে সচেতন ও একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।






