মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অমোঘ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রোববার, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এক শোকবার্তায় এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও একান্ত ভালবাসা জানিয়ে বলেন, মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবময় নাম। তিনি ছিলেন উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের একজন প্রবীণ নেতারূপে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আপোষহীন ও সাহসী লড়াই চালিয়েছেন তিনি। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে তাঁর অবদান সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, জনগণের স্বার্থ রক্ষা এবং কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মওলানা ভাসানী ছিলেন এক উজ্জ্বল দিশারী। তাঁর নেতৃত্ব শোষণের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে ছিল। তাঁর সাহসী ও নির্ভীক উপস্থিতিতে জনগণ বিশ্বাসের জায়গা পেয়েছিল। দুর্বোধ্য ও কঠিন সময়গুলোতে তিনি জনস্বার্থে সক্রিয় থাকতেন, ফলে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ‘অসহায় ও নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মওলানা ভাসানীর আদর্শ আমাদের প্রেরণা। তাঁর দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করার উৎসাহ আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দেখানো পথে চললেই আমরা আমাদের সাফল্য অর্জন করতে পারব।’
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকের দিনটি মনে করিয়ে দেয় মওলানা ভাসানীর দেখানো পথের গুরুত্ব। তিনি অসহায় ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সকলের জন্য প্রেরণার উৎস। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে তাঁর পথটাই আমাদের পথ।’ তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আজ এই দিনে আমি মওলানা ভাসানীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদন করার জন্য সকলে একযোগে কাজ করার দাবি করছি।’






