ভারত ১৭ বছরের ব্যবধানে আমাদের কিছু দেয়নি, বরং আমাদের থেকে সব কিছু নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, দেশের পানির অধিকারের संरक्षण এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের দাদাগিরি বন্ধের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের সাহায্য করেছিল, এ জন্য তাদের ভালো কিছু দেওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু দুঃখজনক, গত ১৭ বছরে তারা কিছু দেয়নি, বরং নেওয়ার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করেছে।
শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা চাই, প্রতিবেশী দেশ যত ইচ্ছে করে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহায়তা করেছিল বলে মনে করি, তাই এখনো তাদের আরও বেশি করে বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত সরকারের এবং মোদিকে নেতৃত্বদানকারী সরকারের সময় আমরা দেখেছি, তারা আমাদের চাপ দিয়েছে, সব কিছু নিয়ে গেছে, কিন্তু বিনিময়ে কিছুই দিয়েছে না। এটা ছিল আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা—তারা কিছুতে সফলতা দেখাতে পারেনি।
তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, বিএনপি শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কারণ এটা তাদের মূল রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তারা চান, বাংলাদেশের পানির অধিকার, সার্বভৌমত্বের সীমান্ত হত্যা, এবং ট্রেডের ভারসাম্যকে যথাযথভাবে সমাধান করতে। এই বিষয়গুলোকে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এর পাশাপাশি, এই সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দুপুরের দিবাগত সময়ে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এক গণসমাবেশে জামায়াতের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি— আপনারা ভালো হয়ে যান। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কেন মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন? আপনারা বিলবোর্ড ও পোস্টার দেখিছেন— অন্যান্য দলের তুলনায় এত দেখলাম না। তাহলে কেন মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন? আপনি তো নির্বাচন করবেন। নির্বাচন না হলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে নির্বাচনে গেলে আপনি পরাজিত হবেন, তাই এই নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন।
মির্জা ফখরুল জানান, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই নির্বাচন ঐচ্ছিক নয়, এটা অপরিহার্য। এই নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশ আরও দুর্বল হবে। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো সরকার সফলভাবে দেশ চালাতে পারে না।






