জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাঁচামাল ব্যবহার ও ইউপি (উইথ পারমিট) ইস্যু প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় এখন থেকে কাস্টমস বন্ড ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সিবিএমএস) ব্যবহারে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এনবিআর জানায়, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারটি চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে তিনটি কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের ২৪টি মডিউলের মাধ্যমে বন্ডেড ওয়ারহাউজ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান মানুয়ালি ইউপি গ্রহণ করছে, কারণ এই সিস্টেমের বলবতামূলক ব্যবহারে এখনো পুরোপুরি অভ্যস্ততা আসেনি। সফটওয়্যারটির ব্যবহার বাধ্যতামূলক না থাকার কারণে এটি জনপ্রিয়তা ও কার্যকারিতায় আরও উন্নতি হয়নি। এনবিআর জানায়, ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও উন্নয়ন করে সিবিএমএস-কে আরও ব্যবহারবান্ধব ও কার্যকরী করে তোলা হয়েছে।
রোববার অনুষ্ঠিত ‘মিট দেই বিজনেস’ শীর্ষক আলোচনায় বিডিডব্লিউসি ইস্যু সংক্রান্ত সেবা প্রদান ও ব্যবস্থাপনায় সিবিএমএস বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে বিখ্যাত ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো—বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজেএপিএমইএ, বিটিএমএ ও এলএফএমইএ—একমত প্রকাশ করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সকল ইউপি সেবা সিবিএমএসের মাধ্যমে গ্রহণ ও প্রদান কার্যকর হবে। এনবিআর শিগগিরই এ বিষয়ক আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা প্রকাশ করবে।
অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, সিবিএমএস বাধ্যতামূলক করলে সেবার প্রদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, দ্রুততা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এতে বন্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলো সহজে ও কম খরচে সেবা পাবেন; কাঁচামালের ইনপুট-আউটপুট স্বয়ংক্রিয় হবে; ম্যানুয়াল কাগজপত্র জমির জটিলতা দূর হবে এবং বন্ড সংক্রান্ত বিবাদ কমে আসবে।
এনবিআর আরও জানায়, ওয়্যারহাউজিং ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনা হলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। ধাপে ধাপে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ অটোমেশনে রূপান্তর করার পরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে।






